মাটি
ছোট বেলায় মাঠে শুয়ে শুয়ে ভাবতাম, গ্র্যাভীটি উল্টে গেলে মাটির সাথে সম্পর্কটা কিরম উল্টে যেত

ছোট বেলায় মাঠে শুয়ে শুয়ে ভাবতাম, গ্র্যাভীটি উল্টে গেলে মাটির সাথে সম্পর্কটা কিরম উল্টে যেত, এখন মাটিতে পা ফেললে একটু শান্তি আসে, নিজের জীবনের সুরক্ষা নিয়ে কোন সংসয় থাকে না। এটা খুব ভাল বোধ করেছিলাম ব্যীঙ্গালেরের একটা billboard-এর একটা পায়ে উঠে। সবটা উঠিনি, দোতালার উচ্চতায় উঠেই হঠাৎ মনে হল আরটু ওঠা বোকাম, নেমে এসেছিলাম চটজলদি। ভেবেছিলাম ভাল ছবি উঠবে, ছবি তুলিনি সেদিন আর। মাটিতে পা ফেলে শান্তি এসেছিল। জলে ব্যাপারটা উলটো। জলের ওপরে উঠে এলেই শান্তি। এমককি বিভীন্ন সামুদ্রিক প্রানী নিশ্চই জলের ওপরের দিকে শান্তি অনুভব করে, কে জানে গভীরে কি আছে আর কি নেই, ভেবেই গায়ে কাটা দেয়! মাটিতে যেমন অনেক ওপরে উঠলে অনেকটা দুর পর্যন্ত দেখা যায়, সমুদ্রে তেমন গভীরে গেলে অনেক কিছু জানা যায়, কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই ব্যপারটা বিপদজনক।
কিন্তু কৌতুহল, অ্যাডভেন্চার ও আনন্দের জন্য আমাদের মাটি ছাড়তেই হয়, আরো গভীরে যেতে হয়, অনেক ওপরে উঠতে হয়, কিন্তু বিপদ এরাতে ঠিক কোথায় আছি, কত ওপরে আছি, কত গভীরে যেতে পারি, কত অক্সিজেন আছে, প্লেনে কত তেল আছে এইসব খেয়াল রাখতেই হয়! Diving-দুনিয়াতে dive computer বলে একটা যন্ত্র প্রচলিত, যেটা বলে দেয় কত গভীরে কতক্ষন অক্সিজেন আছে। Aviation-এ Flight Computer-ও সেরম। মাটি থেকে কতটা দুরে গেলে বিপদ হতে পারে সেটা যাচাই করার এই যন্ত্র অত্যন্ত জরুরী!
পশ্চিমে এসে এই flight computer টা পড়তে ভুলে গেছি কিনা আমি এখনো জানি না। Privilege-এর updraft ধরে অনেকটাই গ্লাইডার প্লেন এর মত গ্লাইড করা সম্ভব, কিন্তু flight computer-রে চোখ না রাখলে হঠাৎ কুয়াশা এসে একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে, সেই ভয়টা আমার আছে, কিন্তু মা, বাবা, জেঠু, আমার শিক্ষক শিক্ষিকারা যে flight computer-টা ধরিয়ে দিয়েছিলেন, সেটা নিয়ে আন্টার্কটীকা থেকে শুরু করে North Pole, সব জায়গাতেই যাওয়া যাবে মনে হয়।